এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মালিকানা দ্বন্দ্ব ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার নামে হয়রানির অভিযোগ
আপলোড সময় :
১৩-০৩-২০২৫ ০৪:২৭:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৩-০৩-২০২৫ ০৪:২৭:৩২ অপরাহ্ন
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া এলাকায় এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার মাধ্যমে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। স্কুল পরিচালনার মালিকানা নিয়ে চলমান একটি দ্বন্দ্বের কারণে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে, এমন দাবি করেছেন স্কুলের অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১২ মার্চ সকালে মোহাম্মদপুর থানার একটি দল কোনো লিখিত পরোয়ানা ছাড়াই এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করতে আসে, এমন অভিযোগ তুলেছেন উপস্থিত অভিভাবকরা। এ সময় উপস্থিত স্কুলের অভিভাবকরা ও সিকিউরিটি গার্ডরা অবৈধ গ্রেফতার ঠেকাতে পুলিশের কাছে গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি দেখতে চান, যা পুলিশ দেখাতে ব্যর্থ হয় বলে জানা গেছে।
স্কুলের পেরেন্টস এসোসিয়েশনের সদস্যরা বলেন, ২৪০০ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। স্কুলের পরিচালককে বারবার হয়রানি করা হচ্ছে, যা স্কুলের সামগ্রিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এই ঘটনার পর এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পেরেন্টস এসোসিয়েশন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও মোহাম্মদপুর থানার ওসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান, স্কুল প্রশাসনের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর পুনঃতদন্ত করা হোক এবং কোনো নিরীহ ব্যক্তিকে হয়রানি না করা হোক।
উপ-পুলিশ কমিশনার ও মোহাম্মদপুর থানার ওসি অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেছেন যে, স্কুলের পরিচালনা নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে পুলিশ সর্তক থাকবে এবং কোনো হয়রানি করা হবে না।
এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ইসলামিক ইংরেজি মাধ্যম প্রতিষ্ঠান, যেখানে ২৪০০ শিক্ষার্থী ব্রিটিশ কারিকুলামের সঙ্গে ইসলামি শিক্ষা গ্রহণ করছে। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিশ্বসেরা ফলাফল অর্জন করেছে, এবং বিগত বছরগুলোতে ১৫টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছে। এই সফল প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার জন্য কিছু অসাধু মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এক অশনিসংকেত।
স্কুলের পেরেন্টস এসোসিয়েশন ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরা বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ব্যক্তিগত স্বার্থের দ্বন্দ্ব না এনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা উচিত। শিক্ষকদের ও পরিচালনা কমিটিকে হয়রানি না করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার দিকেই সবাইকে গুরুত্ব দিতে হবে।” তারা এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে স্কুলের পরিচালক ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড আর না ঘটে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স